প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে চলমান সাধারণ ছুটি ১৫ মে পর্যন্ত বৃদ্ধির পরিকল্পনা সরকার করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে কারণে আমাদের দেশে ৫ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি চলছে। সেই ছুটি ১৫ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে চাচ্ছি।
সোমবার সকাল ১০টায় রংপুর বিভাগের আট জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি। সকাল ১১টার কিছু পর প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। প্রথম দফায় ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে আরও চার দফা বাড়িয়ে ছুটির মেয়াদ ৫ মে পর্যন্ত করা হয়। সাধারণ ছুটির মধ্যেই সরকার পোশাক কারখানাসহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সীমিত আকারে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া সরকারের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় সীমিত আকারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ধীরে ধীরে কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান খুলে দিচ্ছি৷ যারা বের হবেন, তারা নিজে সুরক্ষিত থাকবেন, আর অপরকে সুরক্ষিত রাখবেন। আর বের হলে অবশ্যই মাস্ক পড়ে বের হবেন।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, রমজান মাস মানুষের সুবিধার জন্য সীমিত আকারে বাজার খোলার নির্দেশ দিয়েছি, যাতে মানুষ তার কেনাকাটা করতে পারে। আর ছোটখাটো ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান খুলতে পারবেন। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে বড় ধরনের জনসমাগম যাতে না হয়। এতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। বড় ধরনের জনসমাগম করা যাবে না।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি, তার ফলও আমরা পাচ্ছি।
ভিডিও কনফারেন্সে আট জেলার প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধি ছাড়াও শিক্ষক এবং মসজিদের ইমাম সংযুক্ত হন।